নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
একটু পড়ুন আর নিজেকে নিয়ে ভাবুন।
উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাংলার লক্ষ মানুষের জনপ্রিয় মাদ্রাসা শিক্ষকদের জানাজার ছবিগুলো দেখলে মনে হয় তাদের শিক্ষকতাই সার্থক।ফেইসবুকে দেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে তাদের ছাত্ররা আবাবিল পাখির মত ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে,এক বেলার মধ্যে জানাজা হয়ে উঠে মহাসমাবেশের জায়গা!
নেই কোন পারিশ্রমিক বা ওস্তাদকে খুশি করে পার্থিব কিছু অর্জনের জায়গা! শুধুমাত্র শ্রদ্ধা আর গুরুভক্তির এক এক অন্যন্য ধারা!এ ধারায় একদিনে তৈরি হয় না।একজন ওস্তাদ ঘামের গন্ধও ছাত্রের চেনা থাকে!
অথচ এ করোনাকালে বহু গুনী ও প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গত হয়েছেন,অনেক দূরের তো দূরের কথা হয়তো একই শহরে চাকরি করছে কোন ডেস্কে তার ছাত্র,আট দশ দিনের মতোই!
ব্যক্তিগতভাবে আমি কত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়েছি,শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের কত শিক্ষক গত হয়েছেন,আমি ক’জনের জানাজায় উপস্থিত হয়েছি?আমার মত একই অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই! একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হয়ে অনেকটা নিশ্চিত যে এইরকম জনাকীর্ণ জানাজা কপালে জুটবে না।সবার লোভ সব জায়গায় না,সবার লাভও সব জায়গায় না! শিক্ষকের জন্য শিক্ষার্থীদের অশ্রুজল অমূল্য এক জিনিস-এটা এমনই অর্জন করা যায় না,এমনিতেই আসেও না!
আমরা স্কুলে পড়েছি কিন্তু জানিনা মাদ্রাসার এই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়েছে কিনা-কবি কাজী কাদের নেওয়াজ এর শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি? কিন্তু এই দৃশ্য আমাকে মনে করিয়ে দেয় বাদশা আলমগীরের গলায় সেই লাইনটি-”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির”!
লিখেছেনঃ-
ফখরুল ইসলাম হেমিল
সহকারী অধ্যাপক,
Stamford University Bangladesh