জনতার বার্তা ডেস্কঃ
ঈদুল আজহার প্রথম দিনে অনেকটা ফাঁকাই রয়ে গেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। অন্য বছর এমন দিনে সমুদ্র সৈকতে বহু পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভিড় থাকলে এবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হাতেগোনা কিছু স্থানীয় দর্শনার্থী ছিলো সৈকতে। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে।
কক্সবাজার সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মীদের দলনেতা মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার দিনে পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থী আসার সম্ভবনা মাথায় রেখে বিচকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করে। বিকালের দিকে লাবণী, সুগন্ধ ও কলাতলী পয়েন্টে হাতেগোনা দর্শনার্থী সৈকতে নামে; যাদের ৯০ শতাংশ স্থানীয় দর্শনার্থী। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পর্যটক দেখা দেখে গেছে।
ঈদুল আজহার দিন থেকে পর্যটক আসবে এমন আশায় ছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আশানুরূপ পর্যটক না আসায় সৈকত এলাকার ব্যবসায়ীরা হতাশ।
লাবণী পয়েন্ট বিচপার্ক ছাতা মার্কেটের চটপতি দোকানদার আবদুল হালিম বলেন, ঈদুল আজহার দিনে যেমনটি আশা করেছি তা মোটেও হয়নি। দুপুর থেকে দোকান খুলে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত মাত্র ৫/৭জন ক্রেতা এসেছে।
একই কথা জানিয়েছেন সৈকতের ভ্রাম্যমাণ ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবদু শুক্কুরও। তিনি বলেন, যে কিছু লোক দেখা গেছে তারা স্থানীয় হওয়ায় বেচাবিক্রি হয়নি।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সাধারণত কোরবানির সময় ঈদুল ফিতরের মতো পর্যটক সমাগম হয় না। কিন্তু যা হয় তা আশানুরূপ থাকে। কিন্তু এবারের ঈদুল আজহার দিনের চিত্রটি গত বছর থেকেও অনেক খারাপ।
ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক কম হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়েছে। এমন অবস্থায় ছুটির অন্য দিনগুলোতেও পর্যটক খরার আশঙ্কায় ভোগছেন তারা।