নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া (কক্সবাজার)
মোহাম্মদ সুলতান। বয়স ৩৮ বছর ছুঁই ছুঁই। পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শেখেরকিল্লঘোনা এলাকার মৃত.আনোয়ার হোসেনের ছেলে। ছয় সদস্যের পরিবারের মধ্যে তিনিই একমাত্র উপার্জনক ব্যক্তি। তার আয়ের ওপর নির্ভরকরে পরিবারের ভরনপোষন। বেশকিছু দিন আগেও সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে জীবিকা নির্বাহ করতো সোলতান। কিন্তু ভাগ্যের কি লীলাখেলা। এরইমধ্যে মরণব্যাধি ক্যান্সারে বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। থমকে গেছে তাঁর পরিবার। গত একমাস ধরে ঘরের মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে সোলতানের। চিকিৎসাতো দূরের কথা,পরিবারের সদস্যদের মুখে জুটছে না আহার।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কাঠমিস্ত্রী সুলতান দীর্ঘদিন ধরে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। ডাক্তারের প্রাথমিক চিকিৎসায় বলা হয়েছে তাঁর ব্লাড ক্যান্সার ও টিউমার হয়েছে। চট্টগ্রাম- ঢাকার উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কিন্তু সেটা অনেক ব্যয়বহুল। সেই সামর্থ নেই তাঁর পরিবারের। স্থানীয়রা জানান,পরিবারের একমাত্র কর্তা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে তাঁর চিকিৎসাতো দুরের কথা অনাহারে জীবন নির্বাহ করতে হচ্ছে তাঁদের। চিকিৎসার জন্য দরকার মোটা অংকের টাকা। কিন্তু এই টাকার যোগান দেওয়া পরিবার পক্ষে অসম্ভব। আসুন আমরা এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই আপনার একটু সহযোগিতায় বাঁচতে পারে একটি জীবন।
সোলতানের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন,বর্তমানে তার স্বামী চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানুষের সহযোগিতায় তারা হাসপাতালে এনেছে। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার। কিন্তু সে সামর্থ তাদের নেই। স্বামীকে বাঁচাতে সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন হোসনে আরা। ০১৮৪৪-৬৭১৭৮৬ (নগদ)।