উত্তম চাকমা, মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ি ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়ন এলাকায় বা সিমানা হচ্ছে এই গাইন্দ্যাহং ছড়া বা নদী রাংগামাটি জেলা নানিয়ার চর ১নং সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নে মধ্যে আদম গ্রামের গাইন্দ্যহং নদী বিলুপ্তির পদে আজ। ১৫ বছর আগে নদী ছিল অনেক বড় এখন নদী ছোট হয়ে একটু বৃষ্টি হলে ঘর-বাড়ী তলিয়ে নিয়ে যায়। নদী ছোট হতে হতে এখন নালা মত পরিনত হয়ে দেখা যাচ্ছে। আগে তো রাস্তা-ঘাত না থাকার এই নদীতে নৌকা চলত। নৌকা দিয়ে কলাছড়া, জামবুরা, কাঠাঁল, গাছ -বাঁশ ব্যবসায়িক লোকেরা এই নদী ব্যাবহার বা ব্যবসা করতো নদীতে দিয়ে।
নদী রক্ষা করা আমাদের সকলে কতব্য। একটু বৃষ্টি হলে ঘর-বাড়ী তলিয়ে নিয়ে যায়। আগে নদী বড় হওয়া পানি উঠতে পারতো না। যে যার জায়গা বা এলাকা নদী ভরাদ করছে এখন এই অবস্তা পরিনত হয়েছে। বর্ষা আসলে সবার চিন্তা কখন যে ঘর-বাড়ী তলিয়ে নিয়ে যায়। গ্রাম বা পাড়া প্রধান কে কার্বারি বলা হয় মধ্যা আদম গ্রমে পূর্ণচন্দ্র কার্বারি কাজ থেকে জানা যায় প্রায়ই ১০ পরিবার হবে এই সমতল থেকে উধাও হয়ে অন্যত্ত চলেগেছে। এখানে ২০ পরিবার মত আছে জাগয়া জমি না থাকা এরা কোথাও যেতে পারছে না। জায়গা থাকলে এরাও চলে যেতো। সীমান্ত বতি এলাকায় কোন সরকারের কাজ থেকে সহায়তা বা সহযোগিতা পাওয়া যায় না। বর্ষা আসলে প্রচুর বন্যা হয় ।
সরেজমিনে দেখা যায় নদী পাশে এক পরিবার প্রবীন কুমার বয়স (৭০) কে জিজ্ঞেসা করা হয় সবাই চলে যাচ্ছে আপনারা যাচ্ছে না কেন ওনি বলেন এখানে আমার মা-বাবার, বাবার -বাবা, আত্বীয় -স্বজন,এই মাটি- ভিতা ছিল এই মাটি-ভিতা ছেড়ে কোথায় যাব আমার কোন জায়গা নাই। বাদ্য হয়ে এখানে থাকতে হবে। বর্ষা আসলে রাতের সময় ঘুম তাও ভালো মত হয় না। গত বছর বর্ষা কালে সময় কোমর সমান পানি হয়ে ধান তিন বস্তা, হারি-পাতিল সহ অনেক জিনিস গুলো বাজিয়ে নিয়ে গেছে টেলিভিশন একটা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
নদী রক্ষা তোমার আমার সবার। তাই সবার আগে জনগনের সচেতন হতে হবে এবং সরকার এই কাজে সহযোগিতা না করলে বিলুপ্তি হবে নদীগুলো। তাই দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে নদী ভরাদ থামানো যাবে না।