উত্তম চাকমা, খাগড়াছড়িজেলা মহালছড়ি প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের প্রধান উৎসব “বৈসাবি, শুরু এই তিন দিন ব্যাপি উৎসব উৎযাপিত করা হবে। আজ রোজ মঙ্গলবার ১২/০৪/২০২২ ইং খাগড়াছড়ির জেলা মহালছড়ি উপজেলা চেংঙী নদীতে সকাল ৮.৩০ টা মিনিট নদীতে হাজার ও মানুষ ফুল বিজু দিনে ফুল বাসিয়ে বৈসাবি,সাংগ্রাই, বৈসু শুরু আজ থেকে চলবে ১৪/০৪/২০২২ ইং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
প্রথম দিন ফুল বিজু ,দ্বিতীয় দিন মুরবিজু, তৃতীয় দিন গোজ্যপোজ্য দিন এই তিন দিন ব্যাপি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে গ্রামে গ্রামে। পুরনো বছরকে দুই দিন আগে থেকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর কে বরণ করে নেওয়া জন্য এই উৎসব উৎযাপিত করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য পাহাড়িদের এই উৎসব বিভিন্ন নামে পরিচিত। ত্রিপুরাদের বৈসু,মারমাদের সাংগ্রাই,চাকমাদের বিজু, তেমনি ভিন্নতা, উৎসব। এই উৎসব পাহাড়িদের সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক- বাহক।
আজ ফুলবিজু শুরু হয়েছে খুব ভোরে সূর্য ঘুম থেকে জাগার আগেই শুরু হয় শিশু, কিশোর – কিশোরী, তরুন – তরুনীদের আনন্দ উৎসব ঘুম থেকে উঠে ফুল তোলা ঝাকেঝাকে। গ্রামের সকলে কলা পাতা দিয়ে ফুল হাতে নিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেয়।প্রার্থনা করে মা -গঙী কাজ থেকে সকলে যেন রোগ মুত্তি,সুস্থ থাকে সেই প্রার্থনা, সকল আপদ- বিপদ দুর হয়। অনেকেই নদীতে ডুব দিয়ে গোসল টা সেরে নেই । প্রথম দিন থেকে প্রাণী হত্যা করে না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে গ্রামে গ্রামে। ফুল বিজু হতে বাড়িতে বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয় তিন দিন পর্যন্ত।
কাল মুরবিজু সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয়। মুরবিজু হলো চৈত্রী মাসের শেষদিন। এই দিনে সকলে নতুন পোশাক পরিধান করে। সকালে বাড়ি উঠানে উঠানে কিশোরেরা হা্ঁস- মুরগী দের খাবার দেওয়া দেই।মুরবিজু আমাদের অন্যতম মুল আর্কষণ হলো পাজন তরকারি। পাজন বিভিন্ন খাদ্যাবস্তুুর সবজি কমপক্ষে ৩৬ প্রকার তরকারি দিয়ে রান্না করা হয় পাজন। মুরবিজু দিনে ধনী- গরিব উচু- নিচু সবাই সবার বাড়িতে নিমন্ত্রন না দিলে ও সবার জন্য উমুক্তো।আমাদের পাহাড়ি আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য মধ্য ধারণা আছে যে কমপক্ষে সাতঁটি বাড়িতে পাজন খেলে রোগবালাই মুক্ত হয়।
তারপর গোজ্যপোজ্য দিন হলো বৈশাখ মাসের প্রথম দিন।
নতুন বছর বা পহেলা বৈশাখ গোজ্যপোজ্যদিন ও বর্ষবরণ উৎসব উৎযাপিত হয় এই দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠে ছোটরা বয়োজ্যেষ্ঠদের কাজ থেকে মা- বা আশীর্বাদ নিয়ে দিনটি শুরু করেন। সকলে জার জার ধর্মীয় অনুসারে বৌদ্ধ বিহারে সমবেত প্রার্থনা করেন। নতুন বছর কে ধর্মীয় কাজে ব্যাস্ত রাখে নতুন বছর যেন সুখ শান্তিতে ফিরে আছে পরিবারে সদস্য দের। তিন পার্বত্য জেলা আদিবাসীদের এক মহান উৎসবে যোগ দিতে। শুতে আছে হাজার হাজার পযর্টক শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে এই সময় খাগড়াছড়ি রাংগামাটি, বান্দরবান পর্যটনদের বির জমে।