মোঃ আবু সুফিয়ান শান্তি, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
আগামীকাল ঈদ সামনে রেখে- ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা বারবাজার শেষ হাটে শুরু হয়ে গেছে গরু ছাগল ও ভেড়া ঈদের শেষের দিকে জমজমাট জমে উটেছে বারবাজার পশুর হাট ।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা বারবাজার বিভিন্ন যায়গা থেকে ট্রাক, পিকাপ, নছিমন, করিমন, ভ্যান ভর্তি করে আসছে গরু ছাগল ও ভেড়া, বতর্মান ব্যস্ততা সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা।
কালীগঞ্জ উপজেলার বার বাজার পশু হাট, বারবাজার পশুর হাটে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শনিবার ভোর থেকে ঝিনাইদহ জেলা ও অনন্য জেলা থেকে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেরা ইত্যাদি আসতে শুরু করে। এই সব হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু এসে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
বারবাজার হাটে বিভিন্ন সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম কেউ কেউ বেশি চাচ্ছে। শেষের দিকে গরু বেচাকেনা নাই।
কোরবানি পশু কিনতে আসা ফরিদ পুর জেলার শহিদুল ইসলাম বলেন, গতহাটের চেয়ে গরুর বাজার কম- ব্যাপারী রা গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছে। ১লাখের গরু এখন ৮০ হাজার টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। কোন কোন ব্যাপারী রা বলেন আমাদের মাথায় হাত।
তবে এক গরু বিক্রেতারা নয়ন জানান, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে, কারণ এ বছরের গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতাই গরুর দাম অনেক কম বলছেন।
গরু ব্যাপারী ঝিনাইদহ জেলা থেকে আসা জাকির হোসেন বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার ক্রেতারা গরুর দাম কম বলছেন। এখন পর্যন্ত বড় গরুর ক্রেতাই খুবই কম এসেছে। তবে ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হলেও আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে এই হাটের একপাশে উঠেছে ছাগল, ভেড়া তবে বারবাজার আজ প্রচুর ছাগল বেচাকেনা হয়েছে।
ছাগল বিক্রেতা মোঃ রহমত আলী বলেন, গত বারের চেয়ে এই বার বাজার ছাগল হাটে,২০ টা ছাগলের মধ্যে ১৭ টা ছাগল বেচাকেনা করিছি । আজ প্রচুর ছাগল বেচাকেনা হয়েছে।
গোহাটা সাক্ষাৎকার দেন, বারবাজার হাট পরিচালনা কমিটি সভাপতি ৯ নং বার বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, প্রতি বছরের ন্যায় হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এ হাটে কোরবানির পশু ক্রেতা ও বিক্রেতারা কোন ভাবেই প্রতারিত কেউ হবে না, সে জন্য মাইক প্রচার, সিসি ক্যামেরা, জাল নোট মেশিন বসানো হয়েছে, এবং নিরাপত্তা পুলিশ সব সময় বারবাজার পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যদের টোল চলছে।