এইচ এম বাবুল আক্তার স্টাফ রিপোর্টারঃ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা মিষ্টি বিতরনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
শনিবার(২৫জুন)সকালে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে উৎসবমুখোর পরিবেশে নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা মিষ্টি বিতরনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আনন্দ শোভাযাত্রাটি নেহালপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে নেহা্লপুর স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বাবু চঞ্চল কুমার ভট্টাচার্য।
আলোচনা সভায় উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে মিষ্টি বিতরন সহ পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বড় পর্দায় সরাসরি দেখানোর আয়োজন করা হয়।
সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে পুরো স্কুল এন্ড কলেজ। সবার করতালি ও স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
এসময় অধ্যক্ষ বাবু চঞ্চল কুমার ভট্টাচার্য বলেন,‘আমি আজকে আনন্দিত ও অভিভূত। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরসাহসিকতার জন্য আজ আমাদের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন যদি বাংলাদেশের মানুষ চায় তাহলে সব সম্ভব।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী নেতা। প্রমত্ত পদ্মা নদীর ওপর সেতু একটি নির্মাণ তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। কারণ, পদ্মা সেতু নির্মিত হলে তা শুধু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাবে না, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে।
কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, শিক্ষা, বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রেই এ সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে।পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের সম্পদ, অহংকারের নিদর্শন। এ সেতু আমাদের মর্যাদার প্রতীক, আত্মসম্মানের প্রতীক, কারও কাছে মাথা নত না করে মাথা উঁচু করার প্রতীক, সক্ষমতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক এবং সর্বোপরি আমরা পারি তা প্রমাণের প্রতীক। আর এ প্রতীক রচনার বীর ও সাহসী নায়ক সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সহস্র সালাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।