নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে শতকরা এক টাকা বেশি শুনতে হচ্ছে জমির ক্রেতা বিক্রেতাদের। মৌজা মূল্যে একখণ্ড জমির দাম বিশ লক্ষ টাকা হলে সরকারী ফি’র বাইরে ২০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ যেন অলিখিত নিয়ম !
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া সাবরেজিস্টার অফিসের টিসি মোহরার সুমন কান্তি দে বাড়তি এ টাকা আদায় করেন। কেউ অতিরিক্ত এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার দলিল রেজিস্ট্রি আটকে দেয় সে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান, কবলা দলিলে শতকরা এক টাকা, বায়না দলিলে কানি প্রতিতে ৮-১০ হাজার টাকা, হেবা দলিলে ৮-১০ হাজার টাকা ও পাওয়ার অব এটর্নি দলিলে ৩০-৬০ হাজার পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন পেকুয়া সাবরেজিস্টার অফিসের সুমন কান্তি দে। তার দাবিকৃত টাকা দিতে না পারলে, দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না। এই সুমনের নেতৃত্বে সাবরেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক এ অর্থ আদায় চালিয়ে আসছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সুমন কান্তি দে বলেন, আমি স্থানীয় সরকারের তিন পার্সেন্ট কর আদায় করি মাত্র। এর অতিরিক্ত একটি টাকাও কারোর কাছ থেকে নিই না।
পেকুয়া উপজেলার সাবরেজিস্টার মামুনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।