পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আলোচিত জাফর আলম (৬০) হত্যাকান্ডের মামলায় আসামি করা হয়েছে একজন প্যারালাইসিস রোগিকে। পেকুয়া থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে ১৪ নং আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৭/৮জন নিরাপরাধ ব্যক্তিকেও মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। এনিয়ে থানা প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের দানা বেঁধেছে।
জানাগেছে,বারবাকিয়া ইউপির সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পিতা পাহাড়িয়াখালী এলাকার বাসিন্দা জাফর আলম গত ২৫ জুলাই চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে পুর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী ছনখোলারজুম এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নিষ্টুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। বনবিভাগের সংরক্ষিত জায়গা দখল বেদখল ও বালু মহালের আধিপত্য নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আহমদের ছেলে রমিজ উদ্দিন গংদের বিরোধে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে বলে স্থানীরা জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৭/৮ জন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করার অভিযোগ ওঠেছে।
মামলার আসামি মগনামা ইউপির সাবেক সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, আমি দু’বছর ধরে বিছানা থেকে ওঠতে পারছিনা। আমি একজন প্যারালাইজ রোগি। দু’বার ষ্ট্রোক করেছি। মৃত্যু পথের যাত্রি। কেন, কি উদ্দেশ্যে আমাকে আসামি করেছে বুঝতে পারছিনা। আল্লাহর ওপর বিচার ছেড়ে দিলাম।
মগনামা ইউনিয়নের ফজল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি চক্র আমাকে আসামি করেছে। বাদি ও থানা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ঘটনার সাথে জড়িত ও ভিকটিমকে আমি চিনিওনা। একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের টাকায় বলির পাঠা হলাম।
মগনামা বাজার পাড়া এলাকার ফরহাদ খান টিপু, রাহাত আলী পাড়ার মো. মামুন ও শরত ঘোনা এলাকার জোসেফ উদ্দিন বলেন,সব টাকার খেলা। একজন সাবেক চেয়ারম্যানের মোটাংকের টাকায় আমাদের আসামি করেছে। গত ইউপি নির্বাচনে তার বিপক্ষে ভোট করছিলাম। মোটাংকের টাকায় প্রশাসনও ম্যানেজ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায় জাফর হত্যাকান্ড মামলায় অন্তত ৭/৮জন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।ভিন্ন ইউনিয়নের লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে।মামলায় এতোজন নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করায় হতবাক হয়েছি।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ফরহাদ আলি বলেন, নিহতের স্ত্রী যেভাবে এজাহার দিয়েছে সেভাবে মামলা রুজু হয়েছে। কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি আসামি হলে তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলে অবশ্যই মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হবে।
এমপি ও মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিমের চাপের মুখে মামলায় নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন,না ভাই এ ধরনের কোন চাপ নেই। বাদি যাদের নাম দিয়েছে সেমতে মামলা হয়েছে।