স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ জেলাঃ
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপি নির্বাচনের হাওয়া জোরেশোরে বইছে। বিরোধী দল বিএনপি জামাত মাঠ ছাড়া হওয়ায় বড়ই ফুরফুরে মেজাজে ছিলো আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। কিন্তু সেখানে শক্ত বাধা হয়ে দাড়িয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদ। আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভেবেছিলো তাদের মধ্য থেকেই দল মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকবে। তারা মনে করেছিলো জো জিতেগা ওহি সিকান্দার অর্থাৎ যে জিতবে সেই হবে দলের চেয়ারম্যান। আ.লীগের সেই আশা গুড়েবালি করে দিয়েছে জাতীয় পার্টি। এটি ঘটেছে উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে। গত নির্বাচনেও চমক দেখিয়ে ছিলেন এরশাদ।
সম্প্রতি জাতীয় পার্টি বেশ ঘটা করে ওই ইউনিয়নে তাদের দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে জাতীয় পার্টির মনোনিত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী নিয়েই আলোচনার টেবিলগুলোতে বর্তমানে কথার ফুলঝড়ি ছুটছে।
আগামী ইউপি নির্বাচনে বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে লাঙ্গল মার্কা নিয়ে ভোট করবেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ মিয়া ।
এই পরিবারটির রয়েছে রাজনৈতিক ঐতিহ্য। জাপার মনোনীত এরশাদ ছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার বাবা ছিলেন এই ইউনিয়নের ইউপির সাবেক সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম (মেম্বার)। উন্নয়নেও ভুমিকা রয়েছে তাদের অপরিসীম।
কথা হয় জাপা মনোনিত প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে তিনি বলেন, বংশ পরম্পরায় আমরা জনসেবা করে আসছি। পরিবারের জৈষ্ঠ্যরা গত হওয়ায় এলাকার মানুষের চাপে আমরা নতুনরা জনসেবায় মাঠে নেমেছি। আমাদের শরীরে বইছে জনসেবকের রক্ত। হৃদয়ে রয়েছে চেতনা। তারমতে, আ’লীগ ভেবেছিলো তারা ছাড়া মাঠেই কেউ নেই। এমন অবস্থায় স্থানীয় বিশিষ্টজনদের উৎসাহ এবং আমার ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টি আমাকে এই নির্বাচনে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে।
তার মতে, যেহেতু জাপার কোন গ্রুপিং বা উপদল নেই সে কারণে জনগনের নিরঙ্কুশ সমর্থন পাব। আর হাল আমলের বিবেচনায় সাধারণ মানুষ আ.লীগ বিরোধী হয়ে উঠেছে। সেজন্য জনগনের সমর্থনকে পুজি করে আমি ভোট যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। সাড়াও মিলছে আশাতীত। গত নির্বাচনের চেয়েও এবার নির্বাচনে আমার অবস্থা ভালো বলে মনে করছি আমি। জনগণ আগেও আমার পাশে ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। ইনশাল্লাহ।