রাকিবুল ইসলাম (নারায়নগঞ্জ) রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তার, কে? এই হোটেল বয় হাবিবুর রহমান হাবিব
এক সময় রহিম স্টীল মিলের দুইশত টাকা হাজিরায় কাজ করা হাবিবুর রহমান হাবিব। এরপর ঢাকা আবাসিক হোটেল বয়। সেখান থেকে চিটাগং রোড অবস্থিত একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের ঝাড়ুদার। ঝাড়ুদার থেকে কদম আলী ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তার। কখনো আবার সাধারণ জনগনের নিকট পরিচয়দানকারী এম বি বি এস ডাক্তার। লুইচ্চামিতে ফাস্ট ক্লাস হওয়ায় একের পর এক চারটি বিয়েও করেছেন। যার কারনে স্ত্রীদের দেয়া মামলায় থানা কোর্ট পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। অনেক স্ত্রী আবার তাকে মেরে হাত পা ও কোমড় ভেঙ্গে দিয়েছে। সেইখান থেকে গুজা হাবিব নামে পরিচিত। আর এই কদম আলী ডিগ্রী ছাড়া গুজা হাবিবের ডাক্তারী পেশার পাশাপাশি রয়েছে অবৈধ যৌন উত্তেজনা আর মরন নেশা জাতীয় টেবলেট বিক্রি করার রমরমা ব্যাবসা।
অবশ্য কিছুদিন পূর্বেও নিজ এলাকার জনতার হাতে গণপিটুনি খেয়ে এখন মানসিক বিকারগস্ত। আবার কখনো সাংবাদিকতার পরিচয়ে বিভিন্ন হাট ঘাট ও বাজারে গিয়ে চাঁদাবাজি করা। অবশ্য কদম আলী ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তারী পেশার আড়ালে তার সাংবাদিকতার পরিচয়। রয়েছে রমরমা নারী ব্যাবসা। তার দোকানে কোন অসহায় নারী আসলেই বড় কোন চাকুরী পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায় ঢাকার কোন আবাসিক হোটেলে। তারপর সেই অসহায় মেয়েকে সর্বশান্ত করে সাংবাদিকতার পরিচয়ে প্রশাসনের হুমকি ধামকি দিয়ে বিদায় করে দেয়। তার শিক্ষাগত কোন যোগ্যতা না থাকলেও রয়েছে মেয়ে পটানোর মত চতুরতা। ফলে যে কোন অসহায় মানুষ তার ক্ষপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে অসহায় লোকজন কোন ব্যবস্থা নিতে না পারলেও প্রশাসন হন্য হয়ে খুঁজছে। তাছাড়া সে নিজেকে এম বি বি এস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে তিনশত পাঁচশত টাকা ভিজিট গ্রহন করে। এমনকি দোকানের ভেতর চলে সিজারিয়ান সমস্ত অবৈধ কার্যকলাপ।
গত কিছুদিন পূর্বেও বৈদ্যের বাজার এলাকায় জালের দোকানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দোকানদার চর থাপ্পর দিয়ে পুলিশে দিতে চেয়েছিল। পরে এলাকার লোকজনের নিকট ক্ষমা চেয়ে চলে আসে। তার কর্কস ব্যাবহারে সোনারগাঁয়ের এমন কোন সংবাদকর্মী নাই যারা দুইচারটা চর থাপ্পর দেয়নি। এলাকার রিকসাওয়ালা থেকে শুটকিওয়ালা পর্যন্ত সবাই তার প্রতি ক্ষিপ্ত। তার এই সকল কার্যকলাপ থেকে এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট নিস্তার চায়।