শেখ আবদুল্লাহ, আনোয়ারা (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সোমবার (৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হয়ে যাচ্ছে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। তাই শেষ মুহুর্তে প্রচারণায় ব্যস্ত দিন পার করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন সোমবার হওয়ায় প্রার্থীদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে অনেক। অনেকটা শেষ মুহুর্তে এসে জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলার ১০ ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা।
৫ জানুয়ারি উপজেলার পঞ্চম ধাপে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ, বারশত, রায়পুর, বটতলী, বরুমচড়া, বারখাইন, আনোয়ারা সদর, চাতরী, পরৈকোড়া, হাইলধরসহ ১০ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে বৈরাগ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নোয়াব আলী ও বারখাইন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হাসনাইন জলিল শাকিল,৮নং চাতরী ইউনিয়ন পরিষদ মো. আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবং মামলা সংক্রান্ত জঠিলতার কারণে বটতলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত বন্ধ।এ কারণে ওই ইউনিয়নে শুধুমাত্র সাধারণ মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে নির্বাচনের শেষ সময়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার-চায়ের দোকানে আড্ডা জমে উঠেছে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে নানা ধরনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরছেন। তবে সব ভোটারদের একটিই কথা যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচিত হোক। অনেক ভোটার প্রতীকের চেয়ে প্রার্থীকে বিবেচনায় রাখছেন।
উপজেলার অন্য ৬ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন। এই নির্বাচনে প্রচারণা চলাকালে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও একে অপরের উপর অভিযোগও দিচ্ছে একাধিক।
তবে সব মিলিয়ে ভোটারদের আশা, বুধবার ( ৫ জানুয়ারি) একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে প্রশাসন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৮৩জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব ইউনিয়নে মোট ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ২ হাজার ৯৯১জন এবং নারী ভোটার ৯২ হাজার ৪৫৯জন।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময়ে যাতে এলাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও টহল জোরদার করেছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইয়েদ মোঃ আনোয়ার খালেদ জানালেন, , নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে যাতে কোন ধরনের সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।