এইচ এম বাবুল আক্তার স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাওয়ায় মোঃ মনিরুজ্জামান (৪০) নামে এক দোকানীর দোকান ভাংচুর ও তার স্ত্রী মোছাঃ মাহমুদা বেগমের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল (সোমবার) রাত আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের আমিনপুর বকুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, মনিরুজ্জামান একজন হতদরিদ্র চা বিক্রি করে তার সংসার চলে দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ভাইপো আবু বক্কর ও রহমান করিম তার দোকানে বাকি লেনদেন করে আসছিলেন একসময় তাদের বকেয়া টাকা পরিশোধের কথা বললে তারা টাকা না দিয়ে মুখ খারাপ করেন। পরবর্তী তারা আবারও দোকানে বাকি নিতে থাকলে তাদের কাছে বকেয়া টাকা চাইলে তারা দোকানদার মনিরুজ্জামানকে আপত্তিকর ভাষায় গালাগালি করেন এবং তার বুকে লাথি মারেন দোকান ভাংচুর করেন এমন ঘটনার কথা শুনে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম ঘটনা স্থানে ছুঁটে আসলে তাকেও দোকানে রাখা রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং তার মাথা ফেটে যায় পরবর্তী তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তার মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়।
এ সম্পর্কে চা বিক্রিতা মনিরুজ্জামান বলেন, আমি একজন হতদরিদ্র চা বিক্রি করে আমার সংসার চলে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ভাইপো আবু বক্কর আমার দোকানে বাকি নিতে থাকেন পরবর্তী টাকা চাইলে সে আমাকে টাকা দেয়না শুধু দিবে দিবে বলে ঘুরাতে থাকেন। দোকানে তেমন মাল না থাকায় সে আবারও আমার দোকানে বাকি খেতে থাকেন পরে প্রতিদিনের মত তার কাছে বকেয়া টাকার কথা বললে সে আমার বুকে লাথি মারেন এবং আমার দোকান ভাংচুর করেন ঘটনার খবর শুনে আমার স্ত্রী দোকানে আসলে তাকেও তারা রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং তার মাথা ফেটে যায়।
তিনি আরও বলেন, এখান থেকে ৫-৬ মাস আগে আবু বক্করের কাছে এই বকেয়া টাকার কথা বললে সে আমাকে মারধর করে তখন শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তার চাচা মনিরুজ্জামান মনি তার কাছে বিচার চাইতে গেলে সে আমাকে বলেন আমরা সব নিজেদের মানুষ শুধু শুধু অশান্তি করে লাভ নাই। তেমনি গত রাতেও বকেয়া টাকা চাওলে তারা আমার উপরে এই সন্ত্রাসী হামলা করে এতে আমার স্ত্রী আহত হন আমি আপনাদের কাছে এই হামলার সঠিক বিচার চায়।
এ সম্পর্কে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি ও তার পরিবারের মানুষ আমার পরিবারের প্রতি বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছিলেন। তাদের ক্ষমতার দাপট দেখাতে থাকেন আমাদের উপর কেউ কিছু বলতে পারেন না তাদের। তেমনি গতরাতে তারা হামলা করেন আমার স্বামীর দোকানে তাকে মারধর করেন ও আমার মাথা ফাটিয়ে দেন এবং আবু বক্কর ও রহমান আপত্তিকর ভাষায় গালাগালি করেন আমাদেরকে ভিটা ছাড়া করবেন বলে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিতে থাকেন আমরা গরীব মানুষ সুন্দর ভাবে বাঁচতে চায় আমি এই অমানবিক নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই।
এ সম্পর্কে মনিরামপুর থানা (ওসি) ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি অভিযোগ পেলে আমরা আইননানুগ ব্যাবস্থা নিবো।