শাহ জামাল, পেকুয়া কক্সবাজারঃ
গত ১৬ মাসে থানায় অন্তত একশ বারের উপরে আসেন মামলার বাদী জহিরুল আলম। এভাবে ঘোরাঘুরির পর হতাশ এখন বাদী। কোর্টে পৌছায়নি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন। নানান ভাবে আশ্বাস দিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন দফায় তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ৩০ হাজার টাকা ঘুষ। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে পেকুয়া থানার ঘুষখোর অফিসার নামে খ্যাত এসআই নাদির শার বিরুদ্ধে । তার ঘুষ বানিজ্য অতিষ্ঠ পেকুয়ার সাধারণ মানুষ।
জানাযায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারীতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে জহিরুল আলম বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩৮৯/২১। পরে ওই মামলার তদন্তবার দেওয়া হয় পেকুয়া থানাকে। থানা ঘটনার বিষয়টি সরজমিনে গিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দায়িত্ব দেন পেকুয়া থানার এসআই নাদির শাহকে। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ মাস চলে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত রিপোর্ট দেয়নি এসআই নাদির শাহ। তবে বাদী জহিরুল আলমের কাজ থেকে কৌশলে ঘুষের টাকা নিতে দেরি করে নাই তিনি।
মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আমার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনা স্থালে এসেছিল পেকুয়া থানার এসআই নাদির শাহ। তার পিছনে অনেক দিন ঘুরছি। কোন ধরনের সেবা না পেয়ে কোর্টে গিয়ে মামলা করি। কোর্ট মামলাটির তদন্তবার দেন থানায়। থানা ফের মামলাটি তদন্ত করতে দায়িত্ব দেন এসআই নাদির শাহকে। পুলিশের কাজ জনগণের সেবা করা। আমি চরমভাবে হতাশ হয়েছি পেকুয়া থানার এসআই নাদির শার আচরনে। সে মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলে আমাকে নানা ভাবে জিম্মি করে ৩০ হাজার টাকা আদায় করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এত টাকা নেওয়ার পরও ১ বছর চার মাস পেরিয়ে গেলেও আমার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি নাদির শাহ। সে টাকা নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে কল ধরে। এখন প্রায় নেওয়া শেষ, আর ফোনও ধরে না। একটা সিআর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে যদি এত দিন সময় লাগে তাহলে এধরণের পুলিশের কাছ থেকে কি সেবা আশা করা যায়। প্রথমে মারধরের শিকার হয়ে এক ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হলাম পুলিশের কাছে গিয়েও ফের ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি আরও বলেন নাদির শাহদের মত পুলিশ অফিসারের কারনে পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বদনাম হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার এসআই নাদির শাহ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিই নাই। তিনি আরও বলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারি নাই।
চকরিয়া-পেকুয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) তৌফিক আলম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইগত ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
শাহ জামাল
পেকুয়া প্রতিনিধি
০১৮৩২-৬১৬৯৩০